একদিন অফিসে বসে নিয়মিত কাজ করছি এমন সময়ে তিনজন বয়স্ক লোক এসে অনুমতি নিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ করলেন। রুমে প্রবেশ করে তাঁরা জানালেন যে, একদিনের মধ্যে যদি তাদের জাতীয়পরিচয়পত্র গুলো সংশোধন না করা হয় তাহলে তাঁরা এবার হজ্বে যেতে পারবেন না। আমি তাঁদের প্রাথমিক ভাবে হতাশ না করে দ্রুত আবেদন করতে বলি এবং আশ্বস্ত করি যে, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যদিও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সময়সীমা ৩০ কার্যদিবস অর্থাৎ প্রায় ১মাস ১৫ দিন তবুও আমি আবেদন গ্রহণকরে তাৎক্ষণিক অনলাইনে মেইন সার্ভারে পাঠিয়ে দিই। অতঃপর আমি টেলিফোনে ঢাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলি এবং প্রকৃত বিষয়বস্তু বর্ণনা করি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা আমার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সদয় হয়ে তাৎক্ষণিক জাতীয় পরিচয়পত্র গুলো সংশোধন করে দেন। আমি সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার কপি প্রিন্ট করে তাঁদেরকে প্রদান করি। তাঁরা আবেগাপ্লুত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করেন এবং আমার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন। একজন সেবা গ্রহিতার আত্মতৃপ্তি দেখে সেদিন আমিও অনেক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এবং সঠিক ভাবে সেবা প্রদানের বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। এখনো আমি প্রতিদিন অফিস শুরুতে সেই ঘটনা মনে করি যা আমাকে আমার কর্তব্য সঠিক ভাবে পালনে উৎসাহ জাগায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস